কেএম জহুরুল হক জনি,গাইবান্ধা প্রতিনিধি: ২৮ ফেব্রুয়ারী  রাত প্রায় ১১ টায়। গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের পূর্ব ছালুয়া গ্রামের গরুর ব্যাপারী ছাদেক আলীর

বাড়ির গোয়াল ঘরে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন। বুঝতে পেরে পরিবারের লোকজনের আত্মচিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। চেষ্টা করেন আগুন নেভানোর। ব্যর্থ হয়ে থানা পুলিশের সহায়তায় খবর দেওয়া হয় ফুলছড়ি ফায়ার সার্ভিস অফিসে। দমকলকর্মীরা দীর্ঘ সময় চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে আগুনে পুড়ে যায় খরের গাদা, গোয়াল ঘর। পুড়ে যায়, গোয়াল ঘরে থাকা ১২ টি হাঁস, ১৩ মুরগি। এছাড়া আগুন লাগে ঘোয়াল ঘরের সাথে লাগানো রান্না ঘরেও। সেখানেও পুড়ে যায় আসবাবপত্র, ৫ মণ ধান, কিছু চালসহ প্রয়োজনীয় বাসনপত্র।

এঘটনায় পরদিন বুধবার (১ মার্চ) একই এলাকার মৃত মছির উদ্দিনের ছেলে মোস্তফা মিয়া (৩৫), মনছের আলীর ছেলে সাজেদুল মিয়া (৩০) ও  মজনু মিয়া (৪৫), মজনু মিয়ার ছেলে ছাব্বির মিয়া (২৪) ও মৃত লালবাহাদুরের ছেলে মোসলেম উদ্দিনের নামে  ফুলছড়ি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সাদেক আলী। কিন্তু পুলিশের কাছ থেকে পায়নি কোনো সহায়তা । উল্টোদিকে বাড়িতে আগুন দেওয়ার ভিডিও ধ্বংস ও অভিযোগ তুলে নেওয়াসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।

এমন অভিযোগ তুলে পুলিশী সহায়তা ও জীবনের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের পূর্ব ছালুয়া গ্রামের নিজ বাড়িতেই সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবার। সংবাদ সম্মলনে সাংবাদিকদের জানানো হয়, ছাদেক আলীর বাড়ি ঘেষে তৈরি হচ্ছে নতুন রাস্তা। যে রাস্তা দিয়ে যাওয়া যাবে কেবল প্রতিপক্ষদের বাড়িতেই। রাস্তা তৈরীতে কাকড়া গাড়িতে করে রাতে আনা হয় মাটি। ঘুমের সমস্যা হয় বিধায় তাদেরকে দিনের বেলা মাটি কাটার কথা বলেন ছাদেক আলীর পরিবার। এতেই ক্ষিপ্ত হয় প্রতিপক্ষরা। তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে তারা লোহার রড, ছোরা, দা, বাঁশের লাটি হাতে হামলা করে ছাদেক আলীর  পরিবারের উপর। এলাকাবাসির সহায়তায় বেঁচে যায় ছাদেক আলীর পরিবার। কিন্তু পরবর্তীতে কাজে বাঁধা দিলে তারা পেট্রোলের আগুনে বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে রাতের আধারে পেট্রোল ঢেলেই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে অপূরণীয় ক্ষতি করেন ভুক্তভোগী পরিবারের  ।

সংবাদ সম্মলেন আরো বলা হয়,  বাড়িতে পেট্রোলের আগুন দেওয়ার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হলো কিন্তু মামলা করেনি থানা পুলিশ। উল্টো প্রভাবিত হয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে  তাদেরকেই দেখানো হচ্ছে ভয় বলে তারা জানান । সংবাদ সম্মেলন থেকে ছাদেক আলী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ তার পরিবারের সার্বিক নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এবিষয়ে ফুলছড়ি থানার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সাথে কথা বললে তিনি বলেন এধরনের কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসে নাই, আসলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।